শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আই.টি. সেবাসমূহ
একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় আই.টি. সেবা নিয়ে আমাদের বিস্তারিত আলোচনায় আপনাকে স্বাগতম
সেবাসমূহের বিবরণ
সেবাসমূহ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ট্রেইনিং ইন্সিটিটউট বা যে কোন প্রকার শিক্ষাদান কার্যক্রমের সাথে জড়িত পেশাজীবীদের জন্য আমাদের বর্তমান সেবাসমূহ:
- ডাইনামিক ওয়েবসাইট
- ব্লগ ওয়েবসাইট
- স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা/কিন্ডারগার্টেন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
- অনলাইন লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
- অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন মেম্বারশীপ ও ইভেন্ট রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম
- অ্যাকাডেমিক গবেষণার তথ্য ও ডাটাবেজ অ্যাপ্লিকেশন
ডাইনামিক ওয়েবসাইট
একটি ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠানের সার্বক্ষণিক মুখপাত্র, ক্লান্তিহীন তথ্য প্রদানকারী ও নিরবচ্ছিন্ন মার্কেটিং প্রতিনিধি। একটি ওয়েবসাইট তুলে ধরে আপনার প্রতিষ্ঠানটি কতখানি অ্যাকটিভ এবং স্বতন্ত্র।
- প্রতিষ্ঠানের লোগো, নাম, ও স্লাইডার ছবি প্রদর্শন
- প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা, অফিসিয়াল ফোন নম্বর ও ইমেইল সমূহ প্রদর্শন
- সকল প্রকার আপডেট ও তাৎক্ষণিক নোটিশ প্রদানের সুবিধা
- সকল কমিটি ও কমিটি মেম্বারদের ছবিসহ তালিকা
- শিক্ষকমন্ডলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দের তালিকা
- ফলাফল আপলোড ও প্রকাশের সুবিধা
- ভিন্ন ভিন্ন পেজসমূহে যাবতীয় তথ্যের সুবিন্যস্ত উপস্থাপন
- সকল কার্যক্রমের ছবি, ভিডিও সহ বিস্তারিত বিবরণ
- ফটো গ্যালারি ও ভিডিও গ্যালারি
- সোস্যাল মিডিয়া লিংক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লিংক
ব্লগ ওয়েবসাইট
ব্লগ ওয়েবসাইট মূলতঃ ব্যক্তিগত লেখালেখি বা যে কোন বিষয়ে নলেজ শেয়ার (knowledge sharing) করার সুযোগ সৃষ্টি করে। শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, বিজ্ঞানী, গবেষকগণ তাদের নিজস্ব কন্টেন্ট শেয়ার করার জন্য নিজস্ব ব্লগ সাইট তৈরি করে থাকেন।
অতএব শিক্ষাক্ষেত্রে বা জ্ঞান বিতরণের ক্ষেত্রে ব্লগ সাইটগুলি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। শুধু শিক্ষা বিষয়ক নয়, যে কোন বিষয়ে ব্লগিং সাইট গড়ে উঠতে পারে, যেমন ট্রাভেল ব্লগ, কুকিং ব্লগ, ইত্যাদি। এমনকি কিছু কিছু ব্লগ পৃথিবীব্যাপী এতো বেশি জনপ্রিয় যে শুধুমাত্র ব্লগিং করাকেই অনেকে পেশা ও আয়ের উৎস হিসেবে নিয়ে থাকেন।
লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
বর্তমানে অনলাইন কোর্স ও অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষাদানের বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয়, যে কোন টেইনিং ইন্সটিটউট বা ব্যক্তিগত পর্যায়েও লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে পাঠদানের কার্যক্রমটি অনলাইনের পরিচালনা করা যাচ্ছে।
- অনলাইনে প্রতিষ্ঠানের সকল বিষয়ের ভিডিও লেকচার
- ফাইল আপলোড ডাউনলোডের সুবিধা
- সুবিধা মতো সময়ে ঘরে বসে শেখার সুযোগ
- একটি বিষয় বারবার দেখে নেয়ার সুযোগ
- কমেন্ট বা ফোরাম ব্যবহার করে প্রশ্নত্তর
- ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিজস্ব কোর্স তৈরি করে অনলাইনে বারতি আয়ের সুযোগ
- একবার কোর্স তৈরি করে নিলেই হয়, বারবার লেকচার দেবার পরিশ্রম নেই। প্রয়োজনে কোন একটি ভিডিও আপডেট করে নেয়া যায়।
মেম্বারশীপ ম্যানেজমেন্ট ও ইভেন্ট রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম
একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী বা শিক্ষকদের নিয়ে গড়ে উঠতে পারে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বা বিভিন্ন সদস্য ভিত্তিক সভা-সমিতি। এছাড়া বিভিন্ন ইভেন্ট যেমন পুণর্মিলনী, সেমিনার বা বাৎসরিক কনফারেন্স ইত্যাদির জন্য প্রয়োজন হয় অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের।
এমতাবস্থায় জাহান টেক সলিউশনস নিম্নোক্ত সেবাগুলো প্রদান করেঃ
- অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন মেম্বারশীপ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
- ইভেন্ট রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম
- এসএমএস / ইমেইল নোটিফিকেশন সিস্টেম
- স্টুডেন্ট / মেম্বার ডাটাবেজ অ্যাপ্লিকেশন
ডাটাবেজ অ্যাপ্লিকেশন
শিক্ষাক্ষেত্রে, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গবেষণা কর্ম সংঘটিত হচ্ছে। এসব গবেষণার মাধ্যমে জন্ম হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান ও তথ্যের। কিন্তু সেই গবেষণা কর্মের কতটুকু সাধারণ মানুষের জন্য উম্মুক্ত হচ্ছে?
কিন্তু খুব সহজেই কিন্তু এসব অনেক গবেষণা কর্মের ফলাফল আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় জনসম্মুখে প্রচার করা সম্ভব, সহজলভ্য করা সম্ভব।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাপের বিষ নিয়ে একটি গবেষণা কর্ম এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে – ক্লিক করুন। ওয়েবসাইটটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
এমন ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে গবেষণালব্ধ ফলাফল সমূহকে খুব সহজেই সকলের জন্য উন্মুক্ত ও সহজলভ্য করা সম্ভব। জাহান টেক সলিউশনস মনে করে শুধু প্রযুক্তির একটি শাখা হিসেবে নয় বরং শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আরও নিত্য নতুন উপায়ে বৃদ্ধি পাওয়া উচিৎ।
অন্যান্য সেবাসমূহ
- অ্যাকসেস কন্ট্রোল সিস্টেম (প্রয়োজনে স্কুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-এর সাথে ইন্টিগ্রেট করা যাবে অথবা একক সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে)
- ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) সল্যিউশন
- কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং (ওয়াইফাই) ও প্রিন্ট সার্ভার সল্যিউশন
- ডিজিটাল ক্লাসরুম সেট-আপ (প্রোজেক্টর, ডিজিটাল / ইলেট্রনিক হোয়াইটবোর্ড, ডিজিটাল ক্যামেরা, ইত্যাদি সেট-আপ ও সমন্বয়করণ)
- ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েশন সাপোর্ট
কিছু কথা
“ওয়েবসাইট তৈরির চেয়ে, রক্ষণাবেক্ষন কঠিন”...
কাজের অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি, মূলত তিনটি কারণে কর্তৃপক্ষগণ আই.টি. সুবিধা বা ডিজিটাল সিস্টেমে যেতে দ্বিধা বোধ করেন -
- ১. পুরোনো পদ্ধতি থেকে নতুন ডিজিটাল পদ্ধতিতে আসা ঝামেলাপূর্ণ মনে করা,
- ২. প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ব্যয়, সময় ও পরিশ্রম কমে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে ব্যর্থ হওয়া,
- ৩. রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অতিরিক্ত লোকবল প্রয়োজন মনে করা।
ঝামেলা নয় বরং একটি ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাইতে অনেক বেশি স্মার্ট ও কর্মদক্ষ –
লক্ষ্য করলে দেখব, আমাদের চারিপাশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে। অভিভাবকদের সাথে প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ ও পাঠদানের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের অনেক তথ্য বা রিপোর্ট সরকার বা কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেতে চান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিজিটালাইজেশন এখন সময়ের দাবী। একটি ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাইতে অনেক বেশি স্মার্ট ও কর্মদক্ষ।
নতুন পদ্ধতি অনেক বেশি সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী, পরিশ্রম ও জটিলতা মুক্ত –
চাকুরীর আবেদন বা বিভিন্ন সরকারী কাজে এখন আমরা প্রতিনিয়ত অনলাইন পদ্ধতির ব্যবহার করছি। এমনকি ঘরে বসেই এখন অনেক সরকারী-বেসরকারী সেবা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। ডিজিটালের এই যুগে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ক্ল্যারিক্যাল কাজ কমিয়ে আরাে স্মার্টভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।
অতএব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য, ডিজিটাল সিস্টেম ব্যয়বহুল ও জটিলতর কোন বিষয় নয়, বরং আধুনিক ব্যয় সাশ্রয়ী সহজ সমাধান।
ইউজার ফ্রেন্ডলী সফটঅয়্যারে সব কিছুই এখন কয়েকটি ক্লিকের ব্যপার মাত্র –
আমাদের ওয়েবসাইট ও সফটঅয়্যারগুলি সর্বচ্চ ব্যবহারকারী-বান্ধব (user friendly) করে প্রস্তুতকৃত। প্রাথমিক অবস্থায় ডাটা এন্ট্রি ও পরবর্তীতে শুধু মাত্র ক্লিকের মাধ্যমেই সকল কাজ সম্পাদন করা যায়। সফটঅয়্যারগুলির ইন্টারফেস খুবই সহজ ও পরিচিত, এবং এগুলোর পরিচালনা ফেসবুকের মতো সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন এমন যে কারও জন্যই অত্যন্ত সহজ।
তারপরেও যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য আমাদের কাস্টমার সার্ভিস এবং ফিজিক্যাল সাপাের্ট এর ব্যবস্থা রয়েছে, রয়েছে দ্রুত সফটওয়্যার চালু করে বুঝিয়ে দেয়ার সক্ষমতা। এছাড়াও আমরা ডাটা এন্ট্রিসহ সকল বিষয়ে সহযোগিতা করে থাকি। যার ফলে খুব অল্প দিনেই একটি প্রতিষ্ঠান নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে সফটঅয়্যার বা ওয়েবসাইট চারাতে পারে, বারতি কোন লোকবলের কোনই প্রয়োজন নেই।
যে কোন সমস্যায় যে কোন সময় আমাদের সেবা নিয়ে আপনাদের পাশে থাকব, এটা আমাদের ব্যবসায়িক দাবী নয় বরং এটা আমাদের টিকে থাকার বাস্তব পরিকল্পনা।